শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে জানাজা মাদ্রাসা মাঠ পেরিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে যায়।
একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে জানাজায় আসা মানুষের ঢল। এছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত কিছু পুলিশ ছিলো এক প্রকার নীরব দর্শক।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু জানাজায় লাখো মানুষ সমাগমের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন আসে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোক হবে। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিলো না। তবে আগত লোকদের বলার পর তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ান বলে দাবি করেন ওসি।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যুবায়ের আহমেদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
যুবায়ের আহমেদ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির এবং বেড়তলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি একাধিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামী আলোচক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার বিশ্বজুড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
আরএ