শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের সময় জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে রানা প্লাজা সংশ্লিষ্ট এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে বেশ কিছু দাবি এবং প্রস্তাবনা তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিরুল হক্ আমিন।
রানা প্লাজা সম্পর্কিত তাদের দাবির মধ্যে ছিল: রানা প্লাজার মালিক এবং রানা প্লাজায় অবস্থিত পাঁচটি গার্মেন্টস মালিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া; রানা প্লাজার জমিতে ট্র্যাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা; নিহত পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং প্রস্তাবিত আরএসসি সংগঠিত না হওয়া পর্যন্ত অ্যাকর্ডের কাজ চালু রাখা।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সংশ্লিষ্ট দাবির মধ্যে ছিল: যে সব গার্মেন্টস সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে এখনো খোলা রেখেছে, সে সব গার্মেন্টস কালো তালিকা ভুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া; যে সব মালিক এখনো শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া ও তাদের লাইসেন্স বাতিল করা; মার্চ মাসের বেতন থেকে কোনো টাকা কাটা যাবে না, যারা মার্চ মাসের বেতন থেকে চারদিনের বেতন কেটেছেন, সেই টাকা শ্রমিকদের ফেরত দিতে হবে; শ্রমিক ঠকানোর হীন উদ্দেশ্যে কোনো কারখানা লে-অফ করা যাবে না; পূর্ণ বেতনসহ সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির আওতায় কারখানা বন্ধ রাখা; অবস্থার উন্নত না হওয়া পর্যন্ত অন্য কলকারখানা এবং গণপরিবহন চালু না হওয়া পর্যন্ত গার্মেন্টস খোলা যাবে না ইত্যাদি।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন রানা প্লাজায় পিতা-মাতা হারানো শিশু সন্তান বিজয়, পারভেজসহ ফেডারেশনের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২০
ইএআর/এফএম