শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
গ্রেফতার চারজন হলেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসান, যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, ট্যাংকার ট্রাকের হেলপার ইলিয়াস হোসেন এবং যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী।
এর মধ্যে আবদুল হাসানকে শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়। অন্য তিনজনকে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পাঁচ হাজার লিটার তেল চুরির সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী আরএনবির পরিদর্শক আহসান হাবিব জানান, প্রথম তিন আসামিকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আর প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে আদালতে তোলা হয় শনিবার দুপুরে।
এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেক আসামিরই সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তবে আদালতে আবেদনের শুনানি হয়নি। পরে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একটি ওয়াগান থেকে তেল চুরির সময় একটি ট্যাংকার ট্রাক হাতেনাতে জব্দ করেন রেলওয়ের আরএনবির সদস্যরা।
এসময় তিনজনকে আটক করা হয়। ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে আরএনবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে আবদুল হাসানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক।
তারা হলেন- যমুনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির সহকারী ম্যানেজার আশফাকুল ইসলাম, তেল ক্রেতা (মূল চোর) রবিউল ইসলাম ও ট্রাক চালক বাবু আলী খান। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, তেল চুরির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে পশ্চিম রেল কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী আশীষ কুমার মণ্ডলকে করা হয়েছে এই কমিটির প্রধান। তদন্ত কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
এসএস/এইচএডি/