তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। নারী ও শিশুসহ সমাজের অসহায় মানুষের কাছে সরকারের সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটির পর সীমিত পরিসরে অফিসের প্রথম কার্যদিবসে মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভায় তিনি একথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন ও দপ্তর-সংস্থার প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভিজিডি কার্যক্রমের আওতায় ১০ লাখ ৪০ হাজার দুস্থ-অসহায় নারীকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। শহরাঞ্চলে ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী দরিদ্র মাকে ল্যাকটেটিং মা ভাতা ও পল্লী অঞ্চলের ৭ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছে। এছাড়াও সমাজের দুস্থ নারী ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সামাজিক নিরাপত্তামূলক এসব কার্যক্রমের সুবিধাভোগীর সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো এবং নারী ও শিশুর উন্নয়নে চলমান সব প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরসংস্থার সব কর্মকর্তা/কর্মচারী যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীর ১ দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়াও চলমান প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থান ও জরুরি প্রয়োজনে অফিসে উপস্থিত হয়ে দাপ্তরিক কার্যাদি সম্পাদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০
জিসিজি/এএ