ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লকডাউনে ডাকসেবা দিতে এলো ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
লকডাউনে ডাকসেবা দিতে এলো ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব লকডাউনে থাকা ঢাকা মহানগরবাসীর দোরগোড়ায় ডাকসেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ ডাকঘরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

রাজশাহী ও খুলনা মেট্রোপলিটন শহরেও একই সঙ্গে দু’টি ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর চালু করা হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সোমবার (২৭ এপ্রিল) তার বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকায় জিপিও চত্বরে টেলিসংযোগের মাধ্যমে ৯টি ভ্রাম্যমাণ ডাকঘরের উদ্বোধন করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরের লকডাউনের আওতাভুক্ত এলাকায় জনগণের দোরগোড়ায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, জরুরি চিঠিপত্র, ওষুধপত্র ও করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত উপকরণ, পার্সেল, ডিজিটাল কমার্স, ইএমটিএস এবং ডাক ও জীবন বিমা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এ সেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ভিডিও কনফারেন্সে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান, ঢাকা জিপিও চত্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল ইসলাম এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্রসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবজনিত সরকার ঘোষিত ছুটির সময় ডাক অধিদপ্তর গত ২৮ মার্চ থেকে অদ্যবধি জনসাধারণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সাত লাখ ৫০ হাজার গ্রাহককে ডাকসেবা দেওয়া হয়েছে এবং এক হাজার ২০০ কোটি টাকার লেনদেন সম্পন্ন করা হয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি ডাকসেবাকে জরুরি পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করে। এর ফলে জিপিও, জেলা পর্যায়ের প্রধান ডাকঘর, শহরের সাবপোস্ট অফিস এবং সীমিত পরিসরে গ্রামীণ ডাকঘর খোলা রয়েছে বলে জানায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।