তারপর থেকে তিনি যখনই শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় যান তখনই পাখিগুলো তাকে ঘেরাও করে খাবারের প্রত্যাশায়।
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দল পুলিশের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসকে ঘিরে রেখেছে আর তিনি খাবার ছিটিয়ে পাখিদের খাওয়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, করোনার সংক্রমণরোধে চুয়াডাঙ্গায় চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের রেস্তোরা ও খাবারের দোকান। শহরের এসব পাখিগুলো ওইসব হোটেল রেস্তোররা অবশিষ্ট খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতো। কিন্তু হোটেলগুলো বন্ধ থাকায় খাবার সংকটে রয়েছে ওরা। সেখান থেকেই চিন্তা করে অভুক্ত পাখিদের জন্য কিছু শুকনা খাবারের ব্যবস্থা রাখছি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবে পাখিদের খাওয়ানোর দায়িত্ব নিতে চান তিনি।
আগেও পাখিদের খাবর দেওয়া হতো জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, শহরের হাসান চত্বর এলাকায় একটি পুলিশ বক্স আছে। লকডাউনে যানবাহন ও মানুষের চাপ কম। তাই কাক-পক্ষিদের আনাগোনা বেড়েছে শহরে। সেইসঙ্গে বেড়েছে তাদের খাবার সংকটও। জেলা পুলিশ বিষয়টিকে কখনও ছোট করে দেখে না। তাই প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি অভুক্ত এই পাখিদের বিষয়টিও নজরে আছে।
পশু পাখিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন কেয়ার ফর আনক্লেইম্ড বিস্ট (কাব) এর সভাপতি বখতিয়ার হামিদ বিপুল জানান, বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। এখান থেকে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে। এভাবে সবাই যার যার স্থান থেকে এগিয়ে এলে পশু-পাখিরা আর ক্ষুধার্ত থাকবে না। অন্তত এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ওইসব পশু-পাখিদের দিকে নজর দেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
আরএ