বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১২টায় ইলিশের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় জেলেরা ছুটবেন নদীতে। বেকার সময় কাটিয়ে আবার কর্মব্যস্ত হয়ে পড়বেন তারা।
তবে মৎস্য বিভাগ জানায়, অভয়াশ্রমে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশের পোনা বিচরণ করে এবং ছোট থেকে বড় হয়। মাছ রক্ষা করা সম্ভব হয়ে তাই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
তুলাতলী এলাকার জেলে বশির মাঝি বাংলানিউজকে জানান, দুই মাস মাছ ধরার বন্ধ থাকায় আমরা নদীতে মাছ শিকারে যেতে পারিনি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষ, আমরা রাত থেইে নদীতে নেমে পড়বো। তবে ওই দুই মাসে আমাদের অনেক দেনা হয়ে গেছে। মাছ বিক্রি করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো বলে আশা রাখছি।
নাছির মাঝি এলাকার জেলে হারুন বলেন, বেকার সময় শেষ, এখন আমাদের কর্মব্যস্ততা শুরু। সবাইকে নিয়ে নদীতে নেমে পড়বো। তবে এ সময়টা নদীতে মাছের আমদানি ভালো হলে আমরা লাভবান হতে পারবো। গত দুই মাসে অনেক দেনা হয়েছে।
ভোলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, মাছের অভিযান আমাদের সফল হয়েছে বলা যায়, আমরা মনে করছি, ইলিশের উৎপাদন যে লক্ষ্যমাত্র ছিলো তা অর্জিত হবে। কারণ, ৮০ ভাগ মাছ রক্ষা হয়েছে। এ বছর জেলায় ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।
ইলিশের অভয়াশ্রমে ভোলার মেঘনার ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়ার ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মার্চ-এপ্রিল দুই মাছ ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
এনটি