ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লকডাউন উপেক্ষা করে মানিকগঞ্জের বাজার-পাড়া-মহল্লায় জটলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ২, ২০২০
লকডাউন উপেক্ষা করে মানিকগঞ্জের বাজার-পাড়া-মহল্লায় জটলা

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে লকডাউন এখন শুধু কাগজে-কলমেই আছে, বাস্তব চিত্র ভিন্ন। জেলা শহরের প্রবেশপথে নেই প্রশাসনের নজরদারি,শত শত মানুষকে প্রায় সারাদিনই জটলা বেধে থাকতে দেখা যাচ্ছে বাজার-পাড়া-মহল্লায়। লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা মানছেন না বেশিরভাগ মানুষ।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে গত ১৯ এপ্রিল গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুরো জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটি। প্রথম কয়েকদিন প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপ দেখা গেলেও পরে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার (২ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিরাপদ সামাজিক দূরত্বের কথা ভুলে অসংখ্য মানুষ জেলা শহরের পাড়া-মহল্লাসহ উপজেলাগুলোর প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের বাজারগুলো এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে জটলা বেধে আড্ডা দিচ্ছেন। ভ্যানে করে অস্থায়ী হকাররা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে গিয়ে পণ্য বিক্রি করছেন। শহরের অলি-গলি থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের পাড়া-মহল্লায়ও ছোট ছোট দোকানে বাহারি ইফতার নিয়ে বসেছেন দোকানিরা।

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় লকডাউন না মেনে দোকানিদের দোকান করতে এবং ক্রেতাদের পণ্য কিনতে দেখা গেছে। আবার অযথা আড্ডা দিচ্ছেন অনেকেই।

শহরের বিজয় মেলা মাঠের মোড়ে দেখা গেছে, নিরাপদ সামাজিক দূরত্বের কোনো তোয়াক্কা না করে দোকানিরা দোকান বসিয়ে বেচাকেনা করছেন, ক্রেতারাও পণ্য কিনছেন।    হকাররা ভ্যানে পণ্য  বিক্রি করছেন, তারাই মাঝে মাঝে পাড়া-মহল্লায় ঢুকে পড়ছেন। অলিতে-গলিতে অযথা-অপ্রয়োজনে আড্ডায় মেতে উঠেছেন যুবকরা। কেউ কোনো দূরত্ব মানছেন না।

সেওতা এলাকার কায়ুম বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রথম কয়েকদিন টেলিভিশনে দেখছিলাম, মানিকগঞ্জ জেলা লকডাউন করেছে প্রশাসন। কিন্তু বাজারে এলে বা বাড়ির বাইরে বের হলে লকডাউন মনে হয় না, সেই আগের মতোই চলাফেরা করছেন সবাই। ’  

রাকিব বলেন, ‘কিসের লকডাউন! যে যেভাবে পারছেন, চলাফেরা করছেন, নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব কেউ মানছেন না। এসেছি বাজার করতে। কিছু সময় অপেক্ষা করলাম, ভিড় কমলে বাজারে ঢুকবো। যতো সময় যাচ্ছে, মানুষের ভিড় ততোই বাড়ছে। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পণ্য কিনতে ঢুকেছি। ’

জেলা প্রশাসক ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভাপতি এস এম ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত ১৯ এপ্রিল গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে মানিকগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। প্রতিনিয়ত আমরা মনিটরিং করছি। কেউ যেন কোনো স্থানে অযথা-অপ্রয়োজনে জটলা না করেন, সেজন্য মাইকিংও করছি। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মানুষকে বোঝাচ্ছেন, তারা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করেন। কিন্তু আমাদের প্রশাসনের গাড়ি দেখামাত্রই সটকে পড়ছেন মানুষ এবং গাড়ি চলে গেলে ফের জটলা করছেন। ’

সামাজিক দূরত্ব এবং সচেতন হতে হবে সবাইকে। তবেই এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।