ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উদ্ধারকৃত ৬৫ মণ ভেজাল মরিচের গুড়া জব্দ করার পর ধ্বংস করার আদেশ দেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফেনীর তাকিয়া রোডে ১০-১২টি মসলা তৈরির কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মসলা তৈরির নামে অসাধু ব্যবসায়ীরা হলুদ ও মরিচের গুড়ায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং, নিম্নমানের হলুদ, মরিচ ও ধানের কুড়া মিশিয়ে বাজারজাত করা আসছে। এসব ভেজাল পণ্য নামী-দামী কোম্পানির মোড়কে ফেনীর বড় বাজার, উপজেলা ছোট-বড় হাট-বাজার ছাড়াও নোয়াখালী, রামগতি, চৌদ্দগ্রাম, করেরহাট, বারইয়ারহাটসহ বিভিন্ন স্থানের পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছে।
আরো জানা যায়, জহিরের শহরের আবু বক্কর সড়কে আরো একটি ভেজাল মসলা তৈরির কারখানা রয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, মো. জহিরের মালিকীয় কারখানায় ভেজাল মরিচের গুড়া তৈরির সময় ২৪ বস্তা ও পার্শ্ববর্তী সততা ট্রেডার্সে রাখা ২৭ বস্তা জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মো. জহির ও সততা ট্রেডার্সের মালিক বাসু চন্দ্র নাথ রনি পালিয়ে যায়। পরে তাদের খোঁজাখুঁজি করে আর পাওয়া যায়নি। অভিযান শেষে দুইটি প্রতিষ্ঠানে সিলগালা এবং ফেনী পৌরসভার সহযোগিতায় উদ্ধারকৃত ভেজাল মসলাজাত পণ্য ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক সোহেল চাকমা, ফেনী পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্ণময় বণিকসহ পুলিশের সদস্যরা।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে ভেজালরোধে বাজার মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি টিম কাজ করছে।
তিনি ভেজাল পণ্য উৎপাদনের দায়ে দু’টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও উদ্ধারকৃত মালামাল ধ্বংস করে দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
এসএইচডি/এএটি