ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ত্রাণে অনিয়ম: বরখাস্ত আরও ১ ইউপি চেয়ারম্যান, ৬ সদস্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২০
ত্রাণে অনিয়ম: বরখাস্ত আরও ১ ইউপি চেয়ারম্যান, ৬ সদস্য

ঢাকা: ত্রাণ নিয়ে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ছয় ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৫ মে) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর এ নিয়ে মোট ৪৯ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

এদের মধ্যে ১৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২৯ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং একজন পৌরসভার কাউন্সিলর।

নতুন করে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

আর সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা হলেন- বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউপি'র ১ নম্বর ওয়ার্ডের রুবেল ইজারাদার ওরফে বাবুল মেম্বার, নড়াইল জেলার সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিম মোল্লা, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজাউল করিম খান সোহাগ, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুজিবুর রহমান এবং ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিল সাহিদা বেগম রূপা।

মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিনা অনুমতিতে ইতালি গমন করেছেন এবং সেখানে অবস্থান করছেন বলে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

বাগেরহাট জেলার পেড়িখালী ইউপি সদস্য রুবেল ইজারাদার ওরফে বাবুল মেম্বার করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় সরকারি দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসককে দায়িত্বপালনে বাধা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন।

বরখাস্তকৃত অন্য সদস্যরা সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎসহ ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এবং কেউ কেউ গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছেন।

উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

একইসময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।