শুক্রবার (৮ মে) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হাফিজার রহমান উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চকখাগা গ্রামের মৃত মুসা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চকখাগা গ্রামের বাসিন্দা এক দম্পতি চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তবে তাদের একমাত্র নয় বছরের শিশু মেয়ে গ্রামের বাড়িতে দাদীর কাছে থেকে স্থানীয় চকখাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। করোনা ভাইরাস ও রমজানের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ওই শিশু বুধবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে খেলা করার জন্য বের হয়। এ সময় প্রতিবেশী হাফিজার রহমান ওই শিশুকে টেনে হেঁচড়ে নিজের বাড়ির মধ্যে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে শিশুটির চিৎকারে হাফিজার রহমান পালিয়ে যায়। এরপর শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার দাদীকে বিষয়টি খুলে বলে। পরে ওই শিশু দাদী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৭ মে) শেরপুর থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করেন।
শেরপুর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনার স্কুলছাত্রী ওই শিশুটির দাদী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধকে আটক করে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
কেইউএ/ওএইচ/