জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনছুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে বাগজানা এলাকা থেকে আহাদ পরিবহনের বাসটি জব্দের পর বুধবার (১৩ মে) দুপুরে থানায় আনা হয়েছে। বাসের চালক ও সহকারী পলাতক থাকায় তাদের আটক করা যায়নি।
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার জাহানপুরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান গত ৩/৪ দিন আগে কোমরের ব্যথার চিকিৎসা করাতে ঢাকায় যান। সেখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন তার স্ত্রী। চিকিৎসা শেষে সোমবার (১১ মে) রাতে মাকে নিয়ে ঢাকার বিশ মাইল থেকে দুই হাজার টাকা চুক্তিতে আহাদ পরিবহনের একটি বাসে করে জয়পুরহাটে রওনা দেন তিনি।
পথিমধ্যে মিজানুর রহমান মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রাতের অন্ধকারেই জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের হিচমী বাজারে মাসহ ছেলের মরদেহ ফেলে দিয়ে চলে যান আহাদ পরিবহনের চালক ও হেলপার। এরপরই স্থানীয়রা জানতে পেরে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে খবর দেন। পরে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানোর পর ধামইরহাটে পাঠিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবীর বলেন, ঘটনার পর থেকেই আহাদ পরিবহনের বাসটি খুঁজে বের করতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে পাঁচবিবি থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে বাগজানা এলাকা থেকে সেই বাসটি জব্দ করে। বাসের চালক ও সহকারী আগেই পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
এনটি