বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকেলে জনস্বার্থে এ ঘোষণা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসএম মোস্তফা কামাল।
একইসঙ্গে তিনি তথ্য গোপন করে করোনা রোগী জেলায় অবস্থান করলে বা প্রবেশ করলে ও তথ্য গোপনকারী এবং আশ্রয় প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেন।
এর আগে দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডিসি এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-২ (সদর উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত, পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
সভায় করোনা প্রতিরোধে আন্তঃজেলা এবং আন্তঃউপজেলায় জনগণের চলাফেরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, জেলার বাইরে থেকে কেউ ভেতরে প্রবেশ বা জেলার ভেতর থেকে বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, অনুরূপভাবে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যাওয়া-আসায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ, জেলার ভেরতে ঢোকার প্রতিটি পয়েন্টে কঠোরভাবে নজরদারি, জেলা অভ্যন্তরে প্রবেশের চারটি পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন, চেকপোস্টে পুলিশের পাশাপাশি এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োগ, জেলা সীমান্ত দিয়ে কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করলে তাকে ফেরত পাঠানো, যদি কেউ বাইরে থেকে জেলার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক আইনানুযায়ী শাস্তি প্রদান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার প্রতিটি বাজারে কাপড়ের দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১০টার আগে এবং বিকেল ৪টার পরে হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকান-পাট ও শপিংমলগুলো বন্ধ রাখা ও এর ব্যত্যয় হলে দোকানদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ওইসব দোকান ও শপিংমল সিলগালাকরণ এবং তথ্য গোপন করে করোনা রোগী জেলায় অবস্থান করলে বা প্রবেশ করলে ও তথ্য গোপনকারী এবং আশ্রয় প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সম: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
এসআরএস