১০ টাকা কেজি চাল কার্যক্রমের সুবিধাভোগীদের তালিকা যাচাই করে সহস্রাধিক অনিয়ম পাওয়া যায়। আঁতাতের মাধ্যমে অন্য উপজেলার মানুষ নাচোল উপজেলা থেকে খাদ্যবান্ধব প্রকল্পের ১০ টাকা কেজির চাল উত্তোলন করছেন এমন তথ্যও উঠে আসে।
জানা যায়, ২০১৭ সালে নাচোলে ১০ টাকা কেজি দরে সরকারি চাল বিতরণের লক্ষ্যে হতদরিদ্রদের তালিকা করা হয়। উপজেলার চার ইউনিয়নে মোট ৫ হাজার ৫৮ জনের নামে তালিকা করা হয়।
সেই তালিকায় দেখা যায় প্রভাবশালী বিত্তবান থেকে শুরু করে ভুয়া নামে কার্ড, একই পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর নামে কার্ড, বিভিন্ন ভাতাভোগীর নামে ও একই ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড। এছাড়া উপজেলার বাইরে নিয়ামতপুর, তানোর, গোমস্তাপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলার মানুষের নামে অবৈধ অনেক কার্ডও রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়েনে সরোজমিনে গেলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া ব্যক্তির নামে কার্ড তৈরি করে ডিলারের সঙ্গে আঁতাত করে বছরের পর বছর ধরে ১০ টাকা কেজি দরের চাল আত্মসাৎ করে আসছেন।
নেজামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও একই চিত্র দেখা যায়। এ নিয়ে নেজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনিয়মের ব্যাপারে তেমন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এসব ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আজহারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হতদরিদ্র ব্যাতীত যেসব কার্ডধারী রয়েছেন তাদের নাম শিগগিরই বাতিল করা হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে একটি চিঠি ইস্যু হয়েছে।
সার্বিক ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, হতদরিদ্র ছাড়া কাউকে এ সুবিধা ভোগ করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ট্যাগ অফিসারসহ ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
একেএসআর/এইচ