এর আগে রোববার (১৭ মে) আম্পান মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়।
সভায় জানানো হয়, পাথরঘাটা উপজেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৭৪টি সাইক্লোন শেল্টারসহ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রয়োজনে বিভিন্ন বিদ্যালয় ভবন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও যেকোনো ধরনের সহায়তা করবেন।
পাথরঘাটা উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দেখে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, পাথরঘাটার উপকূলবর্তী হওয়ায় বেশি ঝুঁকিতে থাকায় আমরাও সজাগ রয়েছি। দুর্যোগ থেকে জানমাল রক্ষার্থে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। খোলা রাখা হয়েছে ৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে। এতে সাগর প্রবল বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় সোমবার পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত আম্পানের ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিপদ সংকেত দুটো দেখাতে বলা হয়েছে।
** পায়রা-মোংলায় ৭, কক্সবাজার-চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
এসআরএস