মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে উপজেলা সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরী সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা আক্তার রিবার সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পদ্মানদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের নিরাপত্তার জন্য ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী সাইক্লোন সেন্টার ঘোষণা করা হয়। সাইক্লোন সেন্টারগুলো হচ্ছে, নারিশা ও সুতারপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য মালিকান্দা স্কুল এন্ড কলেজ, নয়বাড়ি ইউনিয়নের জন্য বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, বিলাসপুর ইউনিয়নের জন্য বিলাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুকসুদপুর ইউনিয়নের জন্য পদ্মা কলেজ, দোহার পৌরসভা ও রাইপাড়া ইউনিয়নের জন্য লটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়, মাহমুদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, প্রতিটি এলাকার জন্য মেডিকেল টিম, উদ্ধারকারী টিম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোবাইল টিম, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনীসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে দূর্যোগ কমিটিকে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা জানান, ‘আম্পান’ সম্পর্কে প্রত্যেক ইউনিয়নে মাইকিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল নৌঘাট থেকে নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে পদ্ম নদীতে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে দোহার উপজেলা প্রশাসনের।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৮ ঘন্টা, মে ২০, ২০২০।
ইউবি