ঈদের আমেজ কাটতে না কাটতেই রাজধানীর কিছু কিছু জায়গায় মানুষ ঘুরছে জটলা পাকিয়ে। করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালানো হলেও বিষয়টি পাত্তাই দিচ্ছে না অনেকে।
বুধবার (২৭ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহরের মহাসড়কগুলোর পাশাপাশি অলিগলিতে মানুষের জটলা আর ভিড়। এসব জায়গায় সামাজিক দূরত্বের লেশমাত্র নেই। একজন আরেকজনের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলে কাটাচ্ছেন সময়।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় খুলতে শুরু করেছে পাইকারি ও খুচরা দোকান। রাস্তায় মানুষের চলাচল বেড়েছে। কোথাও কোথাও সেই আগের মতো যানজট তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও পুরনো আবহে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী।
নীলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা আকলিমা হোসেন বলেন, করোনা নিয়ে ভয় করে না তা বলবো না। তবে আমাদের এদিকে এখনো কারো করোনা সংক্রমণের খবর শুনিনি। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে বাইরে একটু আসতেই হয়। তবে সাবধানতা অবলম্বন করেই বাইরে বের হচ্ছি।
বিকেলের পর ভিড় দেখা গেছে বিভিন্ন বাজারে। ক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর একটু সবজির প্রতি আগ্রহ থাকে বেশি। মহল্লার গলির ভ্যানে যে সবজি পাওয়া যাচ্ছে তার মান বাজারের সবজির তুলনায় খারাপ। কিন্তু দাম বেশি। আবার ভ্যানে সব ধরনের সবজি পাওয়া যায় না। তাছাড়া ভালো মাছ কিনতে হলে বাজারে আসতে হয়।
এদিকে পুরান ঢাকার টিকাটুলি ও ওয়ারীতে পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিক্সসহ অন্য পণ্যের দোকান খুলেছে। নবাবপুর রোড এলাকায় বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও পণ্য ওঠানো-নামানো ও সরবরাহ করতে দেখা গেছে। নাজিমুদ্দিন রোডে আসবাব ও অন্য দোকান খোলা ছিল। মৌলভীবাজারে নিত্যপণ্য ও অন্য পণ্যের বেচাকেনা চলতে দেখা যায়।
চকবাজারে প্লাস্টিক, খেলনা, গয়না ইত্যাদি মনিহারি পণ্যের দোকানও খুলেছে। উর্দু রোডে অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী পাইকারি পোশাকের দোকানে কেনাবেচা চলছে। ইসলামপুর পাইকারি পোশাক ও বস্ত্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বেচাকেনা শুরু করেছে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সমিতির সভা করে নানা সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া এবং তা মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এইচএমএস/এএ