রোববার (৩১ মে) ওই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করে কারা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১ জুন) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেলার উম্মে সালমা বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
জানা যায়, কারাগারের বাইরে গরুর ফার্ম রয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে ওই ফার্মের ভেতর মোবাইল ও মাদক রয়েছে। পরে রোববার ওই গরুর ফার্মের ভেতর থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করে কারা কর্তৃপক্ষ। এসময় ফার্মে কর্মরত মনির হোসেন নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে মনির হোসেন কারা কর্তৃপক্ষকে জানায় কারারক্ষী মাকসুদুল হক ওইখানে ভাত খেতে এসেছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষের সন্দেহ কারাগারের ভেতর মাদক ও বন্দিদের মোবাইল ব্যবহার করার সুযোগ করে দেন কারারক্ষী মাকসুদুল হক। এ অভিযোগে মাকসুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারারক্ষী জানান, ২-৩ আগে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর রন্ধনশালার ছাদের উপর থেকে গাঁজা উদ্ধার করে কারা কর্তৃপক্ষ।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কারারক্ষী মাকসুদুল হক জানায়, আমার কাছে কোনো মাদক ও মোবাইল কিছুই পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। কারা কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে ওই মোবাইলটি আমি মনিরকে দিয়েছি কারাগারের ভেতর পাঠানোর জন্য এবং আমি কারাগারের ভেতর মাদক বহন করি। এমন সন্দেহে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
আরএস/এনটি