ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঞ্চল্যকর নিখিল হত্যা মামলায় এএসআই শামীম গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১১ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২০
চাঞ্চল্যকর নিখিল হত্যা মামলায় এএসআই শামীম গ্রেফতার নিখিল তালুকদার ও এএসআই শামীম হাসান (ডানে)

গোপালগঞ্জ: অবশেষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চাঞ্চল্যকর নিখিল তালুকদার (৩৫) হত্যা মামলায় পুলিশের এএসআই (সহকারী উপ- পরিদর্শক) শামীম হাসানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান।  

তিনি জানিয়েছেন, আজ রোববার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নিহতের ছোট ভাই মন্টু তালুকদার বাদী হয়ে এএসআই শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মোঃ রেজাউলের নামে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা নং-০১, তারিখ-০৭.০৬.২০২০ ইং। ওই মামলায় কোটালীপাড়া থানার এএসআই (সহকারী উপ- পরিদর্শক) শামীম হাসান ও মো. রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়। ।

গত মঙ্গলবার (০২ জুন) বিকেলে রামশীল বাজারের ব্রিজের পূর্ব পাশে নিখিলসহ চারজন তাস খেলছিলেন। ওই সময় কোটালীপাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীম হাসান একজন ভ্যান চালক ও একজন যুবককে নিয়ে সেখানে যান এবং আড়ালে দাঁড়িয়ে মোবাইলে তাস খেলার দৃশ্য ধারণ করেন।  

তাস খেলতে থাকা ওই চার ব্যক্তি যখন দেখতে পান যে তাদের খেলা মোবাইলে ধারণ করা হচ্ছে, তখন তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় অন্য তিনজন পালিয়ে গেলেও নিখিলকে শামীম হাসান ধরে মারধর করতে থাকেন এবং হাঁটু দিয়ে পিঠের মেরুদণ্ডে আঘাত করেন। এতে নিখিলের মেরুদণ্ড তিন খণ্ড হয়ে যায়।  

আহত অবস্থায় স্বজনেরা নিখিলকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে চিকিৎসক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট বিভাগীয় তদন্ত টিম গঠন করা হয়।

গতকাল শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ ঘটনায় একটি মীমাংসা বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, পৌর মেয়র কামাল হোসেন, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, রামশীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোকন বালা ও কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ লুৎফর রহমানসহ এলাকার গণ্য ব্যক্তিরা ওই মীমাংসা  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ওই বৈঠকে নিহত নিখিলের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার স্ত্রী ইতি তালুকদার এবং ছোট ভাই মন্টু তালুকদারকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২১১, জুন ০৮, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।