সোমবার(৮ জুন) রাতে ফেসবুকে কেউ কেউ মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে গুজব ছড়ান। তার মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেও কেউ কেউ পোস্ট দেন।
মোহম্মদ নাসিমের ছেলে তানভির সাকিল জয়ও গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আমার আব্বা ডিপ কোমায় আছেন। অবস্থা অপরিবর্তিত। উনার অবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, নাসিম ভাইয়ের অবস্থা আগের মতোই অপরিবর্তিত আছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন, ওই অবস্থায়ই তিনি আছেন। কিন্তু তাকে নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মোহাম্মদ নাসিম এক জন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সন্তান। তাকে নিয়ে আগ বাড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের তথ্য প্রচার করা এটা তার প্রতি অসম্মান ও অশ্রদ্ধা করা।
তিনি বলেন, তার পরিবারের সদস্যরা এবং আওয়ামী লীগ পরিবার মোহাম্মদ নাসিমের এই অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় ব্যথিত ও বেদনাহত। এর উপর এভাবে আগ বাড়িয়ে ভুল তথ্য প্রচার করলে পরিবারের সদস্যরা আরও কষ্ট পাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ পরিবারও কষ্ট পায়। তাই আগ বাড়িয়ে কোনো তথ্য বা গুজব না ছড়ানোর জন্য মোহাম্মদ নাসিমের পরিবার ও তার দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম গত শুক্রবার (০৫ জুন) ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করেন। ওই দিনই জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় পযবেক্ষণে রেখেছিলেন।
শনিবার (৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিক্যাল রোর্ড সভা করে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে। চিকিৎসকদের বোর্ড তাকে ৭২ ঘণ্টা পযবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়।
সোমবার (৮ জুন) দুপুরে মোহাম্মদ নাসিমের নিবিড় পযবেক্ষণের ৭২ ঘণ্টা শেষ হয়। তার অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণেই রাখা হবে। যেহেতু তিনি করোনা আক্রান্ত তাই বাইরে কোনো দেশের হাসপাতালেও ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে অওয়ামী লীগ ও নাসিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার মেডিক্যাল বোর্ড পুর্নগঠন করা হয়েছে। সোমবার (৮ জুন) রাতে এ বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়। বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, নিউরোলজিস্ট কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, নিউরোলজিস্ট বদরুল আলম, নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র কুণ্ডু, নিউরো সার্জন রাজিউল হক, কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফি, ওই হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ডা. মোমেন।
বাংলাদেশ সময় ২৩২০ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২০
এসকে/এমকেআর