বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) বেতন-ভাতা কমানোর এমন নির্দেশনা দিয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার বেশি বেতনভুক্তদের থেকে ১৫ শতাংশ বেতন কর্তন, কর্মীদের পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট, ইনসেন্টিভ বোনাস বন্ধ রাখাসহ মোট ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে বিএবি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিএবির সেক্রেটারি জেনারেল স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়েছে, সবধরণের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা, নতুন শাখা উপ-শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা খোলা বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়াও ব্যাংকের সম্পদ ক্রয়, কর্মীদের দেশ-বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখা, সিএসআর, ডোনেশন, চ্যারিটি, সবধরণের গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার ও কাস্টমার গেট টুগেদার বন্ধ রাখতে হবে।
এছাড়া বড় ধরনের ব্যয় (আইটি সম্পর্কিত, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ক্রয়) আপাতত সীমিত রাখা এবং অন্যান্য সকল ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে।
ব্যাংকের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। এতে বিনিয়োগের উপর সুদের হারও কমেছে । ব্যাংকের ঋণ আদায় প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। বিএবির দাবি মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ দিনদিন বেড়ে চলেছে। আমদানি ও রফতানি হ্রাস পেয়েছে। ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের ঋণ ও আয় আদায় হচ্ছে না। এপ্রিল ও মে মাসের পাপ্য সুদ এক বছরের জন্য ব্লক করে রাখা হয়েছে। সাধারণ ছুটিতে দায়িত্বপালনকারী ব্যাংকারদের বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত প্রণোদনা দিতে বিপুল অংকের ব্যয় নির্বাহ করতে হয়েছে।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিকিৎসা ব্যয় ও স্বাস্থ্যবীমা খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অংশ হিসেবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সেনিটাইজেশন ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করার জন্য ব্যাংকের বাড়তি খরচ হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
এসই/এমআরএ