সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে নদী বন্দর এলাকায় অবিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা মো. মাসুম বিল্লাহ (২৭) ও তার সহযোগী নূরে আলমকে (২৩) গ্রেফতার করা হয় বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান।
এ ঘটনার ব্যাপারে কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার কাজল ঘোষ জানান, গোপনে খবরে জানা যায়, সোমবার বরিশাল নদী বন্দর থেকে একটি চক্র তাদের কোম্পানির লোগোযুক্ত কাগজের প্যাকেট (কার্টুন) সংগ্রহ করছে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ড্রাগ ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতায় বরিশাল নগরের সাগরদী এলাকার টিয়াখালি সড়কের ডাক্তারবাড়ি সংলগ্ন একটি টিনশেড বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি কারখানায় নকল ওষুধ বানানো হচ্ছিল। কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান জানান, টিনশেড ঘরটিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ, প্রসাধন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নকল ওষুধ প্রস্তুতকরণের কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে। এ কাজের সঙ্গে আর কারা জড়িত তাদের খোঁজা হচ্ছে। নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে বরিশাল জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক অদিতি স্বর্ণা জানান, এ কারখানায় এসিআই, কেমিস্ট, জেসন, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানির নকল ওষুধ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ভারতীয় গোদরেজ, গুরুদেব, ডাবর আমলার সিল বসানো বিভিন্ন পণ্যও পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে জানা গেছে, তারা এখানে বসেই এসব কোম্পানির পণ্য তৈরি এবং পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় সেগুলো বিক্রি করতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
এমএস/এইচজে