২০১৯-২০ অর্থ বছরেই গুগল, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়। তবে সদ্য সমাপ্ত হতে যাওয়া এ অর্থ বছরে কোনো ব্যাংকের গ্রাহকদেরই অতিরিক্ত এ কর প্রদান করতে হয় নাই।
আসছে অর্থ বছরকে সামনে রেখে যেন এ কর গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হয় তার জন্য দেশের ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পূর্বের প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে এবার নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইমের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকেও যুক্ত করা হয়। এসব প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রচার না করেও ভিডিও দেখার জন্য যে নিবন্ধন ফি দিতে হয় তার ওপরও দিতে হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (মূসক) থেকে ১১ জুন বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়, অনলাইনভিত্তিক বিনোদন চ্যানেলের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রায় সাবস্ক্রিপশন বা গ্রাহক হওয়ার ফি পরিশোধ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এ অর্থ দেওয়া হয়। মূল্য সংযোজন কর আইন-২০১২ অনুযায়ী এটি মূসক আদায়যোগ্য সেবা।
চিঠিতে এ খাত থেকে কোনো রাজস্ব পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়।
এদিকে ব্যাংকগুলো রাজস্ব বোর্ডের এ নির্দেশনা মেনে ভ্যাট কার্যকরের বিষয়টি তাদের গ্রাহকদের জানাতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবছরে যারা ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছেন তাদেরও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হতে পারে বলেও গ্রাহকদের সতর্ক করেছে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এসএইচএস/আরআইএস/