ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

করোনায় মৃত্যুঝুঁকি উপেক্ষা করে মানবসেবায় ‘পাথওয়ে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
করোনায় মৃত্যুঝুঁকি উপেক্ষা করে মানবসেবায় ‘পাথওয়ে’ .

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত মানব জীবন। দেশেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। করোনার ভয়ে সন্তান কিংবা আত্মীয় স্বজন যখন করোনা আক্রান্ত মরদেহ দাফনে অপারগতা প্রকাশ করছে, সেই সময়ে নিজেদের জীবনের ভয়কে উপেক্ষা করে মৃত ব্যক্তির মরদেহ দাফনসহ করোনাকালীন মানবসেবায় কাজ করে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পাথওয়ে’।

পাথওয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানা যায়, ইতোমধ্যে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ২৬টি মরদেহ দাফন করা হয়েছে। করোনাকালীন সাধারণ ছুটির সময় বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৩৫ হাজার পরিবারকে পরিচয় গোপন করে দেওয়া হয়েছে খাদ্য উপহার, ১২টি অ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘণ্টা করোনা এবং অনান্য রোগীর সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।

এছাড়াও সংগঠনটির পক্ষ থেকে  মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) বিতরণসহ দেশের বিভিন্নস্থানে স্কুল কলেজে করোনা বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।  

সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও জানা যায়, করোনাকালীন মানুষের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্নয়ে গঠন করা হয়েছে ‘হ্যালো ডাক্তার’ নামের একটি টেলিমেডিসন সেবা। যেখানে ২৪ ঘণ্টা মানুষের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। বর্তমানে যানবাহন সংকটকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া ও হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সরাবরাহ করা হয়।

এছাড়াও করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের করোনা টেস্টের জন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। টেস্ট শেষে আবার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছে বেসরকারি সংস্থাটি। ইতোমধ্যে পাথওয়ের সঙ্গে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের যৌথ একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যে চুক্তির আওতায় সাংবাদিকদের করোনা টেস্টের জন্যে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সরাবরাহ করা হয়।           

পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহিন  বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে যেকোনো দুর্যোগে আমরা কাজ করি। করোনা যখন বাংলাদেশে শনাক্ত হয়নি, তখন থেকেই আমারা করোনা বিষয়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত করি। এরপর দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এসময় বিভিন্ন শ্রেণির ৩৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছিন্নমূল মানুষের জন্য  তৈরি খাবারও সরাবরাহ করা হয়।  

তিনি বাংলানিউজের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে বলেন, আমাদের কাছে প্রায় প্রতিদিন মরদেহ দাফনের জন্য ফোন করা হয়। বর্তমান আমাদের কাছে করোনা আক্রান্ত মরদেহ দাফন করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ লজিস্টিক সাপোর্ট নেই। আমরা নিজেদের টাকায় পিপিই কিনে ব্যবহার করছি। অনেক সময় একই পিপিই ওয়াস করে পুনরায় ব্যবহার করতে হচ্ছে।  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা আবেদন করেছি। তারা যদি আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়, তাহলে আমরা আরও ব্যাপক পরিসরে কাজ করতে পারবো।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
আরকেআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।