ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেটে কর্পোরেট করে ২.৫% ছাড় দেয়া। অন্যদিকে বাজেটের ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি খাত থেকে বাজেটের প্রকল্পিত ব্যয়ের ৩২.৮% টাকা ঋণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ খাত থেকেই ১৯.৪%, আর বিদেশি খাত থেকে ১৩.৪% টাকা। তারপরেও কর্পোরেট করে এই ছাড় কেবলই ধনী শ্রেণীর স্বার্থ চিন্তা করেই দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮জুন) এক অডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, কর্পোরেট কর হার বিবেচনা হতে পারে কিন্তু এ মুহূর্তে যখন গোটা মানব সভ্যতা ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে, যেখানে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে, সেসময়ে এই কর ছাড়ে জনগণের ওপরে ঋণ ও সুদের বোঝাকে আরো বাড়িয়ে দেবে।
এখন প্রশ্ন মুনাফার নয়, এখন প্রশ্ন মানুষ বেঁচে থাকার। এ সময়ে অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন মেটাতে কর্পোরেট কর আরো বৃদ্ধি করে মানুষ বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করা দরকার ছিল। কিন্তু সরকার তা না করে পুঁজিপতিদের আরো ছাড়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আর মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সুদের ওপরে ঋণ করেছেন। এর মাধ্যমেও সেই পুঁজিপতিরাই লাভবান হবে। আসলতো পাবেই অতিরিক্ত সুদের টাকাও তাদের পকেটে যাবে। এতে ধনীরা আরো ধনী এবং গরিবরা আরো গরিব হবে। করোনার এই সংকটকে কেন্দ্র করে পুঁজিপতিদের মুনাফার থলে আরো একবার পূর্ন অভ্যন্তরীণ করার পায়তারা করছে সরকার।
চরমোনাই পীর বলেন, কর্পোরেট কর কমানোর এই প্রস্তাব সমর্থন করা যায় না এবং করোনা পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন মেটাতে এ অর্থবছরের জন্য অন্তত কর্পোরেট কর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এমএইচ/এমএমএস
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।