ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনাসেনা ঢুকতেই পারেনি। কোনো সেনা চকও দখল হয়নি।
সর্বদলীয় বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় অস্বাভাবিক কার্যকলাপ হচ্ছে, এ ব্যাপারে কি কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল না আমাদের কাছে? সরকার কি গোয়েন্দা ব্যর্থতা হিসেবে মনে করছে?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চীনে গণতন্ত্র নেই, ওখানে একনায়কতন্ত্র চলে। ওরা যেটা মনে করবে, সেটাই করতে পারে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভারত জিতবে, চীন হারবে। আমরা সরকারের সঙ্গে রয়েছি। পাশাপাশি মমতা আরও বলেছেন, টেলিকম, রেল, বিমানের মতো প্রকল্পগুলোতে চীনদের বাদ দিন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ভারত। আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি। ভারতীয় বাজারে বহু চীনা পণ্য রয়েছে। এটা সমস্যা। চিনা পণ্য অধিকাংশই পরিবেশবান্ধব নয়। কেন্দ্রের পাশে আমরা আছি।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেছেন, কোনো সীমান্ত লাগোয়া নির্মাণ কাজ বন্ধ করা যাবে না। ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন বলেছেন, দেশের জন্য আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি। বিজেডি দলের পিনাকি মিশ্র বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হোক। যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সরকারকে সমর্থন করবে বিজেডি।
এছাড়াও সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী এবং ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনসহ অনেকে। তবে আমন্ত্রণ পাননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএম।
সম্পূর্ণ বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী মোদী ওই বক্তব্য রাখেন। পাশপাশি চীনা হামলার পর হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদী বলেছেন, বীর সেনাদের ত্যাগ ব্যর্থ হতে দেবে না দেশ। ভারত শান্তি চায়। কিন্তু উস্কানি দিলে পাল্টা জবাব দিতে পারে ভারত।
তবে বৈঠকের আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় তিন বাহিনীর সেনা। তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের ভিত্তিতে সীমান্তে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়ত।
সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবার সকাল থেকে গলওয়ানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান নামাতে শুরু করেছে লাদাখের দৌলতবেগ ওল্ডির বিমানঘাঁটিতে। পাশাপাশি চীন-ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উড়তে শুরু করেছে উচ্চশক্তি সম্পন্ন সেনা হেলিকপ্টার।
বর্তমান পরিস্থিতি দেখলে আন্দাজ করা যায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে চীনের চোখে চোখ রেখে লাদাখ সীমান্তে ভারত শুরু করেছে যুদ্ধের মহড়া।
** লাদাখ সীমান্তে ‘যুদ্ধের মহড়া’, জিততে হবে বললেন মমতা
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
ভিএস/ওএইচ/