শনিবার (২০ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে মহানগরীর খালিশপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বুধবার (১৭ জুন) রাতে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ডা. রকিব হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি জমির, আবুল আলী, গোলাম মোস্তফা, খাদিজাকে গাজীপুরের টঙ্গী ও খুলনার রূপসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে আবদুর রহিম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
শুক্রবার প্রধান আসামি জমির শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুস সামাদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অপর দুই আসামি আবু আলী ও গোলাম মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের থানা হাজতে নেওয়া হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার আদালত আসামি আ. রহিমের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি এখন খুলনা থানায় পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন।
নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।
এ ঘটনায় মৃত রোগীর স্বজনেরা ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ডা. রকিবকে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে ১৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বুধবার (১৭ জুন) নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
এমআরএম/এনটি