প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল নির্ধারিত ছিল ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫২ লাখ পরিবার ইতোমধ্যে সুফল পেয়েছে।
জানা যায়, দ্রুত সময়ে মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে একনেক সভায়।
একটি বাড়ি, একটি খামারের উপ-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) নজির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের টার্গেট ৫৫ লাখ পরিবারকে সুফলভোগী করা। কিন্তু এখনো তিন লাখ বাকি আছে অথচ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ। তাই আরও এক বছর সময় আমাদের লাগবে। বর্তমানে কোভিড-১৯ মোলাবিলায় প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ১০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই প্রকল্পটি তৃতীয় বারের মতো সংশোধন করা হয়েছে। আর সংশোধনের সুযোগ নেই। অথচ লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি। তাই দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য একই ধরনের আরও একটা প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে সংশ্লিষ্টরা।
দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য স্থায়ী তহবিলের ব্যবস্থা করা। ওই তহবিল আয়বর্ধক কাজে নিয়মিতভাবে ব্যবহার করে স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করতেই আবারও এমন উদ্যোগ।
প্রকল্পের আওতায় ৫৪ হাজার ভিক্ষুক পুনর্বাসন কাজ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
প্রকল্পটি গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, তৃণমূলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করা, তাদের সঞ্চয়ে উৎসাহ দেওয়া, সদস্য সঞ্চয়ের বিপরীতে সমপরিমাণ অর্থ বোনাস দেওয়া, সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। এছাড়া রয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য পুঁজি গঠনে সহায়তা করা ও আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করাসহ বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা।
এসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ‘একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প’ হাতে নেয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রকল্পটি ফের চালু করা হয়। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় ৪৮৫টি উপজেলায় ৪ হাজার ৫০৩টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার ৫২৭টি ওয়ার্ডে প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে।
ওয়ার্ডগুলোর অধীনে প্রতিটি গ্রামে ৬০টি গরিব পরিবারের সমন্বয়ে একটি গ্রাম-উন্নয়ন সমিতি গঠন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫২ লাখ দরিদ্র পরিবার এ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সমিতি থেকে একজন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। পূর্বের ঋণ পরিশোধ করার পর পুনরায় নেওয়া যাবে ঋণ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
এমআইএস/এইচএডি