জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের স্থলপথে রফতানি বাণিজ্যের ৭০ শতাংশই হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতি বছর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভারতে রফতানি হয়।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, এবছর ১০ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হওয়ার কথা। কিন্তু করোনায় তা থমকে দাঁড়িয়েছে। বাণিজ্য সচলের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। করোনার মধ্যে বাণিজ্য সচল করা নিয়ে তারা একটি এসওপি পাঠিয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, প্রায় তিন মাস ধরে এ পথে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এতে করে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার মতো বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। এছাড়া শিল্প কারখানার পণ্য এখানে আটকা পড়ে আছে। যেহেতু এ পথে আমদানি শুরু হয়েছে সেহেতু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনা করলে রফতানি বাণিজ্যও চালু হবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবার রহমান জানান, স্থানীয়ভাবে রফতানি বাণিজ্য সচলে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কাজ হচ্ছে না। তারা বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। তবে কবে কখন রফতানি শুরু হবে তার কোনো ঠিক নেই।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, যে প্রক্রিয়ায় আমদানি শুরু হয়েছে সে প্রক্রিয়ায় যেন রফতানি শুরু হয় সে বিষয়ে ভারতকে আমরা বলেছি। আমাদের দেশের উচ্চ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। আশা করা যায় খুব দ্রুত এপথে রফতানি প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২শ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হয়। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, টিস্যু, চালের কুঁড়া, মেহগনি ফল, মাছ ও অক্সিজেনসহ প্রায় ৫০ প্রকারের পণ্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৯ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
এমএইচএম/এমএমআই