ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের সমাবেশ, পুলিশের বাধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের সমাবেশ, পুলিশের বাধা

ঢাকা: ১৩ মাসের বকেয়া মজুরির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশি বাধার মুখে নারায়ণগঞ্জের প্যারাডাইস ক্যাবল কারখানার শ্রমিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের অদূরে কদম ফোয়ারার কাছে সড়কেই সমাবেশ করেন। পরে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।

সোমবার (২২ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিলসহ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করেন শ্রমিকরা।

একই সঙ্গে রোববার (২১ জুন) সকাল থেকে বিজয়নগরে অবস্থিত শ্রম ভবনে বকেয়া বেতন দেওয়ার দাবিতে প্যারাডাইস ক্যাবল শ্রমিকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিলের আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্যারাডাইস ক্যাবল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শ্রমিকনেতা দেলোয়ার হোসেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরি সভাপতি কাজী রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, শ্রমিকনেতা দুলাল সাহা, জাহাঙ্গীর আলম গোলক প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্যারাডাইজ ক্যাবল লিমিটেড কারখানাটি গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন করে আসছে। দেশীয় বাজারের পাশাপাশি রপ্তানি করার ক্ষেত্রেও এ কারখানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকি নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত শিল্পগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ভ্যাট দিয়ে আসছে। গত প্রায় এক বছর ধরে কারখানার মালিকপক্ষ উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়লব্ধ অর্থ পুনর্বিনিয়োগ করছে না।  

সমাবেশে বক্তার আরো বলেন, এ কারখানায় স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করে বর্তমানে শ্রমিকরা বিনা বেতনে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মালিকপক্ষ পরিকল্পিতভাবে সময়ক্ষেপণ করে ১৩ মাস ধরে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করছে না। এমনকি পূর্বতন তিন বছরের ওভারটাইম ভাতা বকেয়া রেখেছে। বিগত তিন বছরের অর্জিত ছুটির টাকা, ঈদ বোনাসসহ অন্যান্য পাওনাও বকেয়া রেখেছে।

বক্তারা আরও বলেন, শ্রম প্রতিমন্ত্রীসহ শ্রম দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধের জন্য দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু মহামারি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করছে না। অন্যদিকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তারাও দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা তাদের বকেয়া পাওনার বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শ্রম ভবনে তাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।