এতে বলা হয়েছে- যেসব এলাকায় প্লেন উড্ডয়ন করে সেসব এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানো যাবে না। বিষয়টি জানিয়ে গত কয়েকদিন থেকে রাজশাহীর হজরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে মাইকিং করছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৫ মার্চ থেকে রাজশাহী-ঢাকা রুটে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। তবে রাজশাহীর হজরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরের প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি প্রশিক্ষণ প্লেন নিয়মিত আকাশে উড্ডয়ন ও বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ঘরবন্দি অনেক তরুণ ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেছে। লকডাউন উঠে গেলেও তারা নিয়মিতই সকাল-বিকেলে আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর খেলায় মশগুল থাকছে। কেবল ঘুড়ি নয়, লাইলন দড়ি দিয়ে এখন ঘুড়ির চেয়েও বড় ‘চঙ’ তৈরি করে আকাশে ওড়াচ্ছে। এতে যে কোনো দিন আকাশে বড় ধরনের প্লেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে।
রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান বলেন, ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রশিক্ষণ প্লেন ওঠানামা করছে। তারা নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে। প্রতিদিন তিনটি প্রশিক্ষণ প্লেন ওঠানামা করে।
আর আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী যেসব এলাকায় প্লেন ওঠা-নামা করে সেসব এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানো যাবে না। তাই নিষেধ করে মাইকিং করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
এসএস/এএ