বুধবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় মতিঝিলের সমবায় ভবনের ওই প্রতিষ্ঠানটিতে এ অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু জানান, স্বদেশ করপোরেশনের জামানত গ্রহণ ও ঋণ দেওয়ার এখতিয়ার নেই।
জামানত দেওয়া স্বত্ত্বেও ঋণ না পেয়ে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে তাদের লেনদেনবিহীন একটি অ্যাকাউন্টের চেক ধরিয়ে দিতেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শফিকুল কবির।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আমরা প্রচুর বিজ্ঞপ্তি ও রেডি অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখতে পেয়েছি। নতুন কোনো লোক চাকরির জন্য এলে তাদের ঋণ গ্রহীতা সংগ্রহ ও তাদের কাছ থেকে জামানত আনতে বলা হতো।
সারাদেশে প্রতিষ্ঠানটির ২২টি ব্রাঞ্চ আছে। তবে কোনো এমপ্লয়ি রেজিস্টার খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর যারা কাজ করছেন তাদেরও অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যায়নি। কয়েক মাস কাজ করার পর প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকেই চাকরি ফেলে চলে যেতেন।
এদিকে করোনার সুযোগে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি, নকল শিশু খাদ্য, বেভারেজ পণ্য, নকল মশার কয়েল উৎপাদন ও বিক্রি করছিলো স্বদেশ করপোরেশন।
পলাশ বসু বলেন, স্বদেশ করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান শফিকুল কবির ও জেনারেল ম্যানেজার সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধ সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত প্রতারণার অভিযোগে মামলা করে তদের গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোক্তা অধিকার আইনে শফিকুল কবিরকে দুই মাসের কারাদণ্ড ও আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
পিএম/আরএ