রোববার (২৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
এর আগে, তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল মোল্লা সাংবাদিক কাজলের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সিএমএম আদালতে হাজারীবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশ্রাব আলী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১১ মার্চ রাজধানীর সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হাজারীবাগ থানায় মামলাটি করেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আরা ওরফে বেলী।
এর আগে, গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলাটি করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শেখর। গত ২৪ জুন ওই মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
এরপর ১০-১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে হাজারীবাগ থানার মামলায় এবার তাকে রিমান্ডে পাঠানো হলো।
সংসদ সদস্য শেখরের মামলার পর ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ হন। তাই ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন।
গত ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শফিকুল ইসলাম কাজলকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দেওয়ার দাবি জানায় তার পরিবার। পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।
পরদিন (০৩ মে) অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
কেআই/এনটি