রোববার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের গগন বাবু রোডের নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
বিকেল ৩টায় তার মরদেহ চাপাইনবাগঞ্জে নিজ গ্রামে দাফনের উদ্দেশে স্বজনরা নিয়ে রওয়ানা হন। বাদ এশা জানাজা শেষে সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
ষাটের দশকের এই কিংবদন্তিতুল্য অধ্যাপক ১৯৩৫ সালে তৎকালীন রাজশাহী জেলার চাপাইনবাবগঞ্জ মহকুমার দূর্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বিএল কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এ কলেজে প্রায় তিনি তিন দশকের বেশি সময় অধ্যাপনায় নিবেদিত ছিলেন। খুলনার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব।
খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সাবেক সদস্য এবং তার পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, খুবি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি শিক্ষক হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মনে প্রাণে একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি প্রগতিশীল আন্দোলন এবং সংস্কৃতির বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। উপাচার্য তার নিজের এবং খুবির পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে খুবির ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ তার দীর্ঘদিনের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদের মৃত্যুতে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস অনুরুপ শোক প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
এমআরএম/আরআইএস/