ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টারের লেখা থেকে জানা যায়, পানাম নগরের ভবনগুলোর বেশিরভাগই ঔপনিবেশিক ধাঁচের দোতলা এবং একতলা বাড়ি। যার অধিকাংশই ঊনবিংশ শতাব্দীতে তৈরি।
২০০৬ এবং ২০০৮ সালে নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ডের জরিপে বিশ্বের ধ্বংসপ্রায় শত নগরীর তালিকায় পানামের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
জানা যায়, বর্তমানে পানাম নগরে ৫২টি ভবন রয়েছে। পানাম সড়কের উত্তর পাশে ৩১টি এবং দক্ষিণ পাশে বাকি ২১টি বাড়ি রয়েছে। এসব বাড়ি আয়তাকার, উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত, উচ্চতা একতলা থেকে তিনতলা।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এসব ভবনের দরজা-জানালা পর্যন্ত লুট হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানকার বাসিন্দারা দেশ ত্যাগ করলে নগরীটি প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে যায়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাড়িগুলোতে বসবাসের জন্য ১০ থেকে ১৫ বছরের ইজারা দেওয়া হয়। যা পরে নবায়ন করা হয়। তবে মূল মালিকের অবর্তমানে বাড়িগুলো প্রতিনিয়ত ক্ষয় হতে থাকে। ২০০৪ সাল থেকে ইজারা নবায়ন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় এনে টিকিটের বিনিময়ে এখানে দর্শনার্থী প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়।
পানাম নগর সংস্কারের বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পানাম নগর সংস্কারের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। যার আওতায় পানাম নগরের রেস্টোরেশনের কাজ জুলাই মাসেই শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে একটি ভবনকে রেস্টোরেশন করে কাজ শুরু হবে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পানাম নগর সংস্কারের জন্য উদ্ধার করা হবে পানাম খাল। এরপর এ খাল কেন্দ্র করেই নগরী পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে দর্শনার্থীদের জন্য। পানাম খাল পুনরুদ্ধার শেষে সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য নৌ-ভ্রমণেরও ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হবে খালের পাড়। যেখানে থাকবে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থাও। সংস্কারের পর দর্শনার্থীদের প্রবেশে কড়া নিয়ম আরোপ করা হতে পারে। এর পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য পানাম নগরে রেস্ট হাউস, স্যুভেনির শপ, পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
ডিএন/এএ