ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি-ডিম, কমেছে মাছের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২০
আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি-ডিম, কমেছে মাছের দাম

ঢাকা: ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে হাস-মুরগির খাদ্য উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ ছিল। এটি কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।

এর প্রভাবে বাজারে হাঁস-মুরগির দাম কমবে বলে আশা করা হলেও বাস্তবে তা হয়নি। এখনো আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি ও ডিম।

এদিকে মুরগি ও ডিমের বাজার চড়া হলেও দাম কমেছে মাছের। আকার ও ভিন্নতা ভেদে কেজি প্রতি মাছের দাম কমেছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। শুক্রবার (০৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

রাজধানীর মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, সেগুন বাগিচা, মগবাজার, মালিবাগ, খিলগাঁও বাজারে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি, হাঁস ও ডিম। এসব বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়, প্রতি কেজি লেয়ার ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় ও সাদা লেয়ার ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দামে কিছুটা কমেছে, ছবি: জি এম মুজিবুর

প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৯০ টাকায়, ছোট সোনাল প্রতি হালি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায়, প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। প্রতি পিস ডিম পাড়া হাঁস (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় আর একেকটি বড় হাঁসের দাম পড়ছে ৪০০ টাকা।

আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। এসব বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম (আকার ভেদে) ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়, সোনালী মুরগির ডিম ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় এবং ১০০ পিস কোয়েলের ডিম ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে দাম কমেছে মাছের। এসব বাজারে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে, প্রতি কেজি মলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, ছোট পুঁটি (তাজা) ৫০০ টাকায়, ছোট পুঁটি (ফ্রিজের) ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, গুলশা টেংরা (তাজা) প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায় এবং দেশি টেংরা ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে আকার ভেদে প্রতি কেজি শিং বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, চিংড়ি (গলদা) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বাগদা ৫০০ থেকে ৯৫০ টাকায়, হরিণা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩২০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই (আকার ভেদে) ২২০ থেকে ৩০০ টাকায়, মৃগেল ১৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ২০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১১০ থেকে ১৬০ টাকায়, কৈ ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়, কাতল ২০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত আছে ইলিশের বাজার। বর্তমানে এসব বাজারে এক কেজির একেকটি ইলিশ ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকায়, ৭৫০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ইলিশ ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়, ছোট ইলিশ আকার ভেদে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দামে কিছুটা কমেছে, ছবি: জি এম মুজিবুর

হাসিবুল নামে মালিবাগ বাজারের এক মাছ বিক্রেতা জানান, এখন বাজারে মাছের সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা কিছুটা কম। এ কারণে পাইকার বাজারে মাছের দাম কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। তবে মাছের ঘাটতি দেখা দিলে দাম আবার বেড়ে যাবে।

খিলগাঁও বাজারের মুরগি বিক্রেতা বোরহান বাংলানিউজকে বলেন, গত রমজান থেকে বাজারে মুরগি কম আসছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম কমছে না পাইকারি বাজারে। বেশি দামে মুরগি কিনতে হয় বলে বিক্রিও করছি কিছুটা বাড়তি দামে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
ইএআর/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।