কাউয়ারখোপ বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে শুক্রবার (৩ জুলাই) ভোরে ডব্লিউএফপির দেওয়া ১৭ বস্তা ত্রাণের চাল ও ৭ কার্টুন বিস্কিট উদ্ধার করেছেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রণয় চাকমা।
অভিযোগ ওঠেছে এই করোনা মহামারিতে কর্মহীন ও হত দরিদ্র মানুষের জন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) বরাদ্দকৃত এসব চাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ওই দোকানে সরিয়ে রেখেছেন।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, রাতে জেলা প্রশাসকের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় জনৈক হারুন অর রশিদ নামের ব্যক্তির দোকান থেকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার দেওয়া ১৭ বস্তা চাল এবং ৭ কার্টুন বিস্কিট উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
ইউএনও বলেন, প্রাথমিকভাবে অনিয়মের একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক দাদা সংস্থার দেওয়া এসব চাল এখানে কীভাবে এল, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ভবিষ্যতে বাইরের দাতা সংস্থাগুলো সহায়তা দিতে নিরুৎসাহিত হবে, যোগ করেন ইউএনও।
যে দোকান থেকে চালগুলো উদ্ধার করা হয়েছে ওই দোকানের মালিক হারুন অর রশিদের বক্তব্যর একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে।
ভিডিওতে হারুন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাবুল ও শুক্কুর নামের দুই লোক মান্নান চৌকিদারের চাল বলে দুই বস্তা চাল রেখে যায়। পরে আরও কয়েক বস্তা চাল নিয়ে আসে। এ সময় আমি এতগুলো চাল এখানে কেন রাখছো, জিজ্ঞেস করলে তারা এসব কার্ডের চাল এবং যাদের চাল তারা নিয়ে যাবেন বলে জানান। তবে এসব চাল কেনার বিষয়ে আমার সঙ্গে কোন কথা হয়নি।
কাউয়ারখোপ ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য হাবিব উল্লাহ জানান, আমার জানা মতে, এসব চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মদ সরিয়ে রেখেছেন।
রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বিতর্কিত চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এর আগে এই চেয়ারম্যানের নানা অনিয়মের অডিও ও ভিডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৪,২০২০
এসবি/জেআইএম