খুলনার তেরখাদার কাটেঙ্গা গ্রামের কায়নাতের শখের গরু এটি।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার বাজারে তুলতে চাচ্ছেন চিতা বাঘকে।
কায়নাত বলেন, ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫ হাত, প্রস্থ সাড়ে ৩ হাতের বেশি। ওজন ৪০ মণ। কালো আর সাদা রঙের ষাঁড়টি ক্রস জাতের। দেশিয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে মোটাতাজা করা হয়েছে।
‘স্থানীয় কসাইরা বলেছে, গরুটির মাংস হতে পারে ১৮ মণ। চিতা বাঘকে দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়ছে। সবাই একনজর দেখতে চায় বিশাল আকৃতির গরুটিকে। রাস্তায় বা বাড়ির পাশে গোসল করাতে নিয়ে গেলে অনেকে ছবি তুলে নিয়ে যান। আবার কেউ কেউ গরুর সঙ্গে সেলফি তোলেন ও ভিডিও করেন। ’
তিনি বলেন, নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি চিতা বাঘকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওর আকৃতি বেড়েছে। চেহারা ও স্বভাবে সে এখন সত্যিই চিতা বাঘ। এলাকার কোনো গরু তার সঙ্গে যুদ্ধে পারে না।
গরুর মালিক কায়নাত বলেন, এবার গরুর জন্য খড় সঙ্কট ছিল। কষ্ট করে ৪ বছর ধরে গরুটি লালন পালন করে করোনার কারণে এবার দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।
কায়নাতের ছেলে এস এম বায়েজিদ হোসেন বলেন, চিতা বাঘ প্রতিদিন খড়, ভুসি ও ঘাস খায়। চিতা বাঘ আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে বড় হয়েছে।
গরুর মালিক কায়নাত জানান, শখের বশে তিনি দীর্ঘ দিন গরু পালন করেন। চিতা বাঘ ছাড়াও তার আরও কয়েকটি গরু রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
এমআরএম/এইচএডি