ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে আর নিম্নমানের কাজ হবে না: তাজুল ইসলাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২০
দেশে আর নিম্নমানের কাজ হবে না: তাজুল ইসলাম

ঢাকা: দেশে আর কোনো নিম্নমানের কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন অনেকাংশেই স্থানীয় সরকার বিভাগের উপর নির্ভর করে। ফলে দেশের উন্নয়নে যেকোনো প্রকল্প নেওয়া হোক না কেন তা অবশ্যই গুণগত এবং টেকসই হতে হবে।

গুণগত মানসম্পন্ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করতে গিয়ে কেউ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হলে তার মন্ত্রণালয় তা শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।

সোমবার (৬ জুলাই) মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষ থেকে দেশের ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নিতে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে এক অনলাইন সভায় তিনি একথা বলেন।  

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান যোগ দেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দেশের রাস্তাঘাট, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনসহ ছোট বা বড় যে প্রকল্পই নেওয়া হোক তা মানসম্মত এবং টেকসই হতে হবে। মানুষকে উন্নয়নের সুফল দিতে হলে যেকোনো কাজ টেকসই ও কোয়ালিটিসম্পন্ন করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে আর কোনো নিম্নমানের কাজ করতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি ও সমস্যার সম্মুখীন হলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই বর্ষাকালে অতিবর্ষণ ও উজান থেকে পানি এসে অনেক চরাঞ্চলে তলিয়ে যায়। এতে করে বাড়িঘর, ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়। এসব মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।

বন্যা মোকাবিলা সংক্রান্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকার প্রধান কার্যালয় এবং বন্যাকবলিত সব জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানিভর্তি জেরিক্যান বিতরণের মাধ্যমে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি বগুড়া, কুড়িগ্রাম, ও সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় অস্থায়ী নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।

বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যাওয়া নলকূপ জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্লিচিং পাউডার জেলা ও উপজেলা আছে বলেও সভায় জানায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০ 
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।