এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সদরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই শিক্ষককে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মিজানুর রহমান একই উপজেলার সতেররশি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে স্কুলের ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা গড়ে তোলেন শিক্ষক মিজানুর। এরপর একদিন ওই শিক্ষক বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সদরপুর উপজেলার পরিত্যক্ত একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে মোবাইলে নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন। এরপরে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মিজানুর। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে বাড়িতে ঘটনা খুলে বলায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে সদরপুর থানায় ওই শিক্ষককে আসামি করে মামলা করেন।
গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই শিক্ষকের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তবে শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মশিউর রহমান জানান, গ্রেফতার হওয়া ওই শিক্ষকের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।
এসআই আরও বলেন, বুধবার ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার ওই শিক্ষককে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ওই শিক্ষককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
আরএ