যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফাহিমের ঘরে কয়েক টুকরায় কাটা একটি মরদেহ পায় স্থানীয় পুলিশ।
ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহটি ফাহিমের।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজ, নিউ ইয়র্ক পোস্টসহ স্থানীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানায় এমনটাই।
স্থানীয় পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেলে ম্যানহাটনের নিজ ফ্ল্যাটে মরদেহ পাওয়া যায় ওই ব্যক্তির। ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহটি ফাহিম সালেহের। খুনের আগে সোমবার (১৩ জুলাই) আনুমানিক পৌনে দুইটার দিকে দিকে ফাহিমকে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাতে শেষবারের মতো দেখা যায়।
এতে দেখা যায়, ভবনের লিফট দিয়ে সাততলায় নিজ ফ্ল্যাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন ফাহিম। একই ফুটেজে, ফাহিমের সন্দেহভাজন খুনিকেও দেখা যায়। হাতে একটি প্লাটিকের ব্যাগ নিয়ে ফাহিমের সঙ্গেই লিফটে ওঠেন আততায়ী।
গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী স্থানীয় পুলিশের মতে এটি একটি পরিকল্পিত খুনের ঘটনা। ফাহিমের ঘরে পাওয়া মরদেহটির মাথা, হাত এবং পা শরীর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়। মরদেহের পাশেই একটি ইলেকট্রিক করাত মেশিন পাওয়া যায়। আর শরীরের কাটা অঙ্গগুলো মরদেহের পাশেই একটি প্লাস্টিক ব্যাগে পাওয়া যায়। পুলিশ এটিকে ‘খুবই কুৎসিত’ হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছে।
এদিকে ফাহিম সালেহের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে পাঠাও। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দা নাবিলা মাহবুব বাংলানিউজকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, পাঠাওয়ের এক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফাহিম সালেহের মৃত্যুতে আমরা হতভম্ব এবং গভীরভাবে দুঃখিত। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরেও মানুষের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তনে প্রযুক্তির সক্ষমতার প্রতি ফাহিমের গভীর বিশ্বাস ছিল। সে সবসময় পাঠাও এবং এই ইন্ডাস্ট্রির সবার জন্য এক অনুপ্রেরণা ছিল এবং অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
নিহত ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ছাড়াও নাইজেরিয়াতে ‘গোকান্ডা’ নামক আরেকটি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। পেশায় ওয়েবসাইট ডেভেলপার ফাহিম অ্যাডভেঞ্জার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
এসএইচএস/এএটি