নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ফাহিমের মরদেহ তার বাসা থেকে গত মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকেলে উদ্ধার করা হয়। ফাহিমের হাত-পা ও মাথা তার শরীর থেকে আলাদা ছিলো।
পুলিশ জানিয়েছে, যে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, গত বছর দুই দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে তা কিনেছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ওয়েব ডেভেলপার।
যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি ইউনিভার্সিটিতে ইনফরমেশন সিস্টেমে পড়াশোনা করতেন ফাহিম। পরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বসবাস শুরু করেন। পাঠাওয়ের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাইজেরিয়া ও কলম্বিয়াতেও এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক।
নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র কার্লোস নিয়েভাস বলেছেন, শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়া গেছে। তবে কিভাবে সেগুলো উদ্ধার হয়েছে, সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
তবে তিনি বলেছেন, আমরা ফাহিমের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করেছি। তার মাথা, হাত ও পা আলাদা করা ছিলো। ঘটনাস্থলেই সব অঙ্গ পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যার রহস্য জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন গোয়েন্দারা।
পুলিশ জানিয়েছে, ফাহিমের বোন ৯১১ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। একদিন পার হয়ে গেলেও ভাইয়ের দেখা না পেয়ে তিনি ৯১১ নম্বরে ফোন করেন।
পুলিশ ধারণা করছে, সিসিটিভি ক্যামেরার সূত্র ধরে অপরাধীকে শনাক্ত করা যাবে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সোমবার (১৩ জুলাই) এক ব্যক্তি স্যুট, হাতে মোজা, মাথায় হ্যাট ও মুখে মাস্ক পরে ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করছেন।
পুলিশ বলছে, শিকার হাতের নাগালে আসতেই ওই লোক কাবু করে ফেলেছে। তার সঙ্গে স্যুটকেস ছিল। তিনি একেবারেই পেশাদার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
এএটি