ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রস্তুত নৌবন্দর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রস্তুত নৌবন্দর

ঢাকা: লঞ্চে যাত্রী ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিতের পাশাপাশি লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় বিষয়ে থাকবে বিশেষ তদারকি। নৌপথে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এছাড়া নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী ওঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশের সঙ্গে সহযোগিতায় থাকছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

তবে করোনা ভাইরাস থাকায় এ বছরের যাত্রা অন্য সব ঈদযাত্রার চেয়ে ভিন্নতা এনেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধিটা।

টার্মিনালের প্রবেশমুখ ও লঞ্চে প্রবেশের আগে জীবাণুনাশক টানেলের পাশাপাশি থাকবে তাপমাত্রা নির্ণয়ে থার্মাল স্ক্যানার। প্রথমবারের মতো সদরঘাটে নতুন ভবনের ছাদে তৈরি করা হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সদরঘাট নিজ কার্যালয়ে বাংলানিউজকে এসব কথা জানান ঢাকা নৌবন্দরের বন্দর বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন।

সদরঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদযাত্রার জন্য প্রস্তুত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রতিটি প্রবেশমুখে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে তাপমাত্রা নির্ণয়ের পাশাপাশি জীবাণুনাশক টানেল দিয়ে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। করোনা ভাইরাস থাকায় অন্য ঈদের তুলনায় এবার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ঢাকা নৌবন্দরের বন্দর বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন বলেন, এবার করোনা মোকাবিলা নৌযাত্রাকে ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে। লঞ্চঘাটের প্রতিটি প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক টানেল থাকবে। তাছাড়া লঞ্চে প্রবেশের আগে টানেলের মাধ্যমে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। ঈদযাত্রায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রথমবারের মতো সদরঘাটে নতুন বিল্ডিংয়ের ছাদের উপর ওয়াচ টাওয়ার বসছে।

তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মানা। তাছাড়া নৌপথে ঈদযাত্রায় কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী ওঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশের সঙ্গে সহযোগিতায় থাকবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলছিলেন, ঈদের আগে পাঁচদিন ও পরের তিনদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সূর্যাস্তের পর সবধরনের মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের আগে পাঁচদিন ও পরের তিনদিন পর্যন্ত দিনের বেলায়ও সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় জানানো হয়েছিল, লঞ্চে যাত্রী ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী ওঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। রাতের বেলা স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। স্পিডবোটে চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০ 
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।