ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতিতে তদন্ত কমিটি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
খুলনায় করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতিতে তদন্ত কমিটি

খুলনা: ‘খুলনা মেডিক্যালে বিক্রি হচ্ছে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট!’ এ শিরোনামে বাংলানিউজে বুধবার (১৫ জুলাই) সংবাদ প্রকাশিত হয়। করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার সঙ্গে জড়িত জেকেজি হেলথ কেয়ার নিয়ে দেশজুড়ে যখন লঙ্কাকাণ্ড তখন খুলনায় করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বিক্রির খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ডেপুটি সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি রয়েছে।

জানা যায়, খুমেক হাসপাতালের লিফটম্যান পদে কর্মরত নওশাদ টাকার বিনিময়ে নগরের বিকে রায় ক্রস রোডের তানিয়া বেগমকে নমুনা আইডি কেএমসি-২০০২৩ ও পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার শামীম আহমেদকে নমুনা আইডি কেএমসি-১৯০৩১ তে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত নমুনা পরীক্ষায় তারা দু’জনই করোনা পজিটিভ।  

এছাড়া কেএমসি-১৯০৩১ ও কেএমসি-২০০২৩ নমুনা আইডি নম্বর দু’টোই ভুয়া। একইসঙ্গে সরকারি প্রণোদনার সুবিধা নিতে একজনের নমুনার রিপোর্ট অন্যজনের নামে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ আলী বলেন, সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের সবাই নিম্নশ্রেণীর কর্মচারী।

এদিকে অভিযুক্ত নওশাদকে ধরতে পুলিশ হন্নে হয়ে খুঁজেও তাকে পাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।