বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
ওই দুর্ঘটনার পর যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় তার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এছাড়া আগে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছিল তখনকার তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ করেছিল সেগুলোও চাওয়া হয়েছে। এসব রিপোর্ট ও সুপারিশ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয় হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।
কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কমিটির সদস্য শাজাহান খান, মো. মজাহারুল হক প্রধান, রণজিত কুমার রায়, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও এসএম শাহজাদা বৈঠকে অংশ নেন।
এদিকে বৈঠকের পর সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌপথে যাত্রী হয়রানি ও অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ই-টিকেটিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে বৈঠকে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) উন্নয়ন কার্যক্রম, ড্রেজিং পরিস্থিতি ও বর্তমানে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে গৃহীত পদক্ষেপগুলো উপস্থাপন করা হয়।
বৈঠকে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে চলমান প্রকল্পগুলো কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসির শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ নিয়ে আলোচনা হয়। বর্তমানে অধিদপ্তরগুলোতে জনবলের ঘাটতি কত, কীভাবে তা পূরণ করা যায়, সে বিষয়ে আগামী বৈঠকে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
এসকে/এএ