ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ইভিএমে অদৃশ্য কারচুপি, নির্ভর করতে হবে ব্যালটেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
ইভিএমে অদৃশ্য কারচুপি, নির্ভর করতে হবে ব্যালটেই ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে অতিথিরা- ছবি- শাকিল

ঢাকা: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট কারচুপি দৃশ্যমান নয়। এতে অদৃশ্য কারচুপি করা সম্ভব। তাই আরো বেশ কিছু নির্বাচনে ব্যালট পেপারের ওপরই নির্ভর করতে হবে। তবে অবশ্যই এমন সময় আসবে ইভিএম বা ডিভিএম (ডিজিটাল ভোটিং মেশিন) এর মতো যন্ত্রেও ভোটগ্রহণ করা যাবে।
 
 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) শনিবার (১০ জুন) আয়োজিত এক ছায়া সংসদের অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কথা বলেন।
 
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ভোটাধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার।

আর যন্ত্র যেহেতু মানুষের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত তাই ভোটদানে ইভিএমের ব্যবহারের ওপর ভরসা রাখা যায় না। কেননা, যন্ত্রের মধ্যে ভোটদানে এক লাখ ভাগের এক ভাগ হলেও কারচুপির সম্ভাবনা থাকে। একথা সত্য যে, ইভিএম নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন হচ্ছে এটা পরিচালনা করবেন যিনি, তাকে। কেননা তিনি ইচ্ছা করলেই ভোটের ফল পাল্টে দিতে পারবেন।
 
তিনি বলেন, এছাড়া পৃথিবীর ২শ’টি দেশের মধ্যে প্রায় ৩০টি দেশ ইভিএম ব্যবহার করে। এটি এতো স্বচ্ছ হলে ১৭০টি দেশই কেন এ ব্যবস্থায় যাচ্ছে না? আবার ওই ৩০টি দেশের মধ্যেও কিছুকিছু দেশ ইভিএম ব্যবহার থেকে সরে এসেছে। তাই যন্ত্র নয়, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে।  
 
বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, আসলে বর্তমান সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। এজন্যই জনগণ যে যন্ত্রকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারে না, ভোটে সে যন্ত্রকে ব্যবহার করতে চাইছে। ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর নয়-এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারই প্রমাণ করছে তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।
 
ড. মঈন খান বলেন, বিশ্বের কাছে যতই রোল মডেল বলে বাংলাদেশকে পরিচিত করাতে চাইনা কেন বা আত্মতুষ্টিতে ভুগি না কেন, ভোটের অধিকার কিন্তু নিশ্চিত হয় নাই। কাজেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

তার আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী নির্বাচনে সব দল বিশেষ করে বিএনপিকে আনার জন্য সব ব্যবস্থা করা হবে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কেননা, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে সব ক্ষমতা দিয়েছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রযুক্তি ব্যবহার চায়। তবে আগামী নির্বাচনে তা ব্যবহার করতেই হবে এমন নয়। নির্বাচনের মাত্র দুই বছরের মতো সময় আছে, ইসির যদি সক্ষমতা থাকে, তবে ব্যবহার করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ইসিকে এ বিষয়ে কিছু বলেনি।  
নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে 'ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট' শিরোনামে ছায়া সংসদটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সরকারি দলের ভূমিকা নেয় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক। আর বিরোধী দলের ভূমিকা নেয় প্রাইম ইউনিভার্সিটি। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ স্পিকারের ভূমিকা পালন করেন। এতে বিতর্কের পর হাঁ-না ভোটে বিরোধী দল জয়যুক্ত হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।