তার বাম পাশে ছিলেন শিমুল বিশ্বাস, পিছনে গৃহকর্মী ফাতেমা ও ডানে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।
তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) সদস্যরা।
রায় ঘোষণার আগেই বিচারক খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সিএসএফকে আদালতের বাইরে পাঠিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেন। এরপরই তাদের এজলাসের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে রওয়ানা হয়ে দুপুর পৌনে ২টার দিকে বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত পৌঁছান খালেদা জিয়া।
বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও তারেক রহমানসহ অপর আসামিদের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। । এছাড়া খালেদা বাদে অপর ৫ আসামিকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা করা হয়।
রায় ঘোষণার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী খালেদা জিয়াকে ঘিরে ফেলে। তার কাছে কাউকে পৌঁছাতে দেওয়া হয়নি। রায় ঘোষণার ১০ মিনিট পর তাকে সাদা পাজেরো গাড়িতে করে কারগারের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়।
তাকে গাড়িতে ওঠানোর সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকেই কেঁদে ফেলেন। এদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ। ডুকরে ডুকরে কাঁদেন অ্যাডভোকেট সিমকি ইমাম খান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ অনেকে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে কাঁদেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ। অন্যরাও ছিলেন বিমর্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমআই/এএ