ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রানার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৮
রানার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার

টাঙ্গাইল: যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালত গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেয়ার পর তার (রানা) বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার এ রিমান্ডের শুনানি হবে।

এমপি আমানুর রহমান খান রানা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ গত ৩ মে (বৃহস্পতিবার) রানাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন।

বুধবার এ আবেদনের শুনানির সময় রানাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল আদালতে আনা হয়। পরে তার (রানা) উপস্থিতিতে আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুম তাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন।
পরে ওই আদালতেই এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশোক কুমার সিংহ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয় দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামির জবানবন্দিতে রানার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে এসেছে। তাই এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড প্রয়োজন। আদালত সূত্র জানায়, রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভূক্ত করে।

এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন, এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদের জবানবন্দিতে এমপি রানার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়।
অপরদিকে ঘাটাইল জিবিজি কলেজছাত্র সংসদের সহ সভাপতি (ভিপি) ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম ঘাটাইল আমলী আদালতে গত ৩ মে এ মামলায় রানাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য পৃথক আরেকটি আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার (১০ মে) এ আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।