ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি-জামায়াতের বাগবিতণ্ডায় সুযোগ নিচ্ছে ফ্যাসিবাদ: মামুনুল হক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
বিএনপি-জামায়াতের বাগবিতণ্ডায় সুযোগ নিচ্ছে ফ্যাসিবাদ: মামুনুল হক

পটুয়াখালী: বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাগবিতণ্ডায় সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিবাদ ফের পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।  

তিনি বলেছেন, ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় রাজপথে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে সেই ঐক্যের বিরুদ্ধে কেউ ভূমিকা পালন করলে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।

যত দ্রুতসম্ভব প্রধান দুই দল বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর পারস্পরিক বাগবিতণ্ডা বন্ধ করুন। (আপনারা) নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ছেন। এর সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিবাদ আবারও বাংলাদেশে পুনর্বাসিত হলে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামকে বাংলাদেশের জনগণ কখনও ক্ষমা করবে না।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে পটুয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।  

শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবিতে এ গণসমাবেশ আয়োজিত হয়।  

এতে মামুনুল হক বলেন, ‘৫ আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী আরেকটি দেশে তোমরা ঘাপটি মেরে বসে থেকে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জাল বোনার চেষ্টা করছো। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে তোমাদের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেবে। ’

তিনি বলেন,  শুধু বাংলাদেশ নয়-ভারতীয় উপমহাদেশেও একশো বছর খুঁজলেও শেখ হাসিনার মতো এতো ভীরু নেতা পাওয়া যাবে না। শুধু দেশের না আওয়ামী লীগেরও ১২টা বাজিয়ে গেছেন। এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন এদেশে আর কেউ আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে মাথা উঁচু করে রাজনীতি করতে পারবে না। দল ও নেতা কর্মীদের ভালো হতো যদি দেশ ছেড়ে পালিয়ে না গিয়ে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মতো কারাবরণ করতো।  

হেফাজতের এ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে বিভক্ত করতে। তার রাজনীতির দর্শন ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ বলে বিভাজনের রাজনীতি। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই রাজাকারের ট্যাগ দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার শহীদ জিয়াউর রহমানকেও রাজাকার ট্যাগ দিয়েছিল। শেখ হাসিনার পক্ষে থাকলে মুক্তিযোদ্ধা আর বিপক্ষে গেলে রাজাকার।

ভরাতের সমালোচনা করে মামুনুল হক বলেন, ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ থেকে বিতাড়িত হয়ে সর্বশেষ ছিল হারাধন বাংলাদেশ। কৃতদাসী শেখ হাসিনা অনন্তকাল বাংলাদেশ লুটপাট করবে। এই কৃতদাসীকে বাংলার মানুষ তার মুনিবের ঘরে পাঠিয়েছে।  

খেলাফত মজলিশের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্বাস আলীর সভাপতিত্বে আয়োজিত গণসমাবেশে বুধবার বিকেল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জড়ো হতে শুরু করে। গণসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া গণহত্যার বিচার দাবি জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।