তিনি বলেন, আপনারা নিজেদের মাইনরিটি ভাবেন কেন। আপনাদের ভোটের মূল্য কম আর মুসলমানদের ভোটের মূল্য বেশি, এটা কি সংবিধানে আছে।
ওবায়দুল কাদের শুক্রবার (১৮ মে) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপনাদের ভোটের মূল্য কম আর আমার ভোটের মূল্য বেশি এটা তো না। নিজেকে যখন মাইনরিটি ভাববেন তখন নিজেকে দুর্বল করে দেবেন। আমাদেরও কিছু ভুলত্রুটি আছে কিন্তু আপনাদের বেটার বন্ধু এদেশে আমাদের চেয়ে আর কেউ না। শেখ হাসিনা চেয়ে আরকি কেউ আপনাদের আপনজন আছে। ছোট খাটো ভুলত্রুটি নিয়ে বসে থাকলে বড় ভুলত্রুটি হবে। মনে নেই ২০০১ এর নির্বাচনের পরের কথা।
২০০১, ২০০৩ এর নির্যাতনের কথা ভুলে গেছেন। আপনাদের জন্য আমাদের চেয়ে বেটার কেউ না। পাকিস্তানের বন্ধুরা আপনাদের বন্ধু হতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির আমলে আপনাদের উপর যে নির্যাতন হয়েছে সেটা ওই সরকারের কেন্দ্রীয় পলিসির অংশ। আমাদের আমলে যে ছোট-খাটো ঘটনা ঘটেছে সেটা শেখ হাসিনা সরকারের পলিসির অংশ না। আওয়ামী লীগেও দুর্বৃত্ত আছে। কেউ কোনো অন্যায় করলে আমি তাদের দুর্বৃত্ত বলি। জমি, বাড়ি, সম্পত্তি দখল এ ব্যাপারে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স। আপনাদের জন্য বিকল্প আমরাই। আমাদের বিকল্প পাকিস্তানের দোসররা। ভুল করে পাকিস্তানের দোসরদের আমাদের বিকল্প ভাববেন না। কেউ হুমকি দিলে শক্ত হয়ে দাঁড়াবেন। বাড়ির সামনে এসে দুই-তিন জন হুমকি দিলে পালিয়ে চলে গেলে হবে না।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের ভারত সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এ সফর নিয়ে বিএনপি অনেক কথা বলে। কিন্তু সেখানে আমরা নির্বাচন নিয়ে একটি কথাও বলিনি। আমরা মোদীর সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক, পার্টি টু পার্টি সম্পর্ক, পিপলস টু পিপলস সম্পর্ক, তিস্তা সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি তিনি বাংলাদেশের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তুরিক।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বিশেষ অথিতির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এ সম্পর্ক আরও উচ্চমাত্রায় যাবে। সুখে দু:খে ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষ বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ সবাই সমান অধিকার ভোগ করছে। এটা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি।
তিনি আরও বলেন, পূজা উদযাপন পরিষদের এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পরিষদের একটি নতুন কমিটি আসবে। এই কমিটি প্রয়োজনীয় এজেন্ডা তৈরি করে কাজ করবে বলেও আমি আশা করি।
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত দাস দিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন সিকদার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৪১৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
এসকে/এসএইচ